অবশেষে গর্ভবতী গাভীর মাংশসহ এক পাষন্ড গ্রেফতার ॥ জনমনে স্বস্তি
স্টাফ রিপোর্টার: বাচ্চা প্রসবের কয়েকদিন আগেই রাতের আঁধারে গোয়াল ঘর থেকে গর্ভবতী গাভী চুরি করে জবাই করে মাংশ লুট করে নেয়ার ঘটনায় রবিউল ইসলাম (১৯) নামের এক বখাটেকে থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় ওই বখাটের ফ্রীজে রাখা গাভীর ১২ কেজি মাংশও উদ্ধার করে। বুধবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পুলিশ শহরের হাসপাতাল সংলগ্ন বোনের বাসা থেকে রবিউলকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রবিউল পুলিশের কাছে এ নির্মম ঘটনায় তিনিসহ আরো ৭জন অংশ নেয় বলে স্বীকার করেছে। রবিউল উপজেলার উত্তর মিঠাখালী গ্রামের মো: আ: হালিম মুন্সীর ছেলে।
থানা পুলিশ জানায়- গত সোমবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলার জরিপেরচর গ্রামের সৌদি প্রবাসী হাফেজ কামাল ঘরামীর গোয়াল ঘর থেকে প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের গর্ভবতী গাভী চুরি করে। ওই রাতে নিকটবর্তী মাঠে নিয়ে জবাই করে মাংশ লুট করে। এসময় গর্ভের প্রায় সাড়ে নয় মাস বয়সী বকনা বাছুরটি রেখে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার পশুর ওপর নির্মমতার বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাসহ সর্বত্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এদিকে কামাল বিদেশ থাকায় তার শ^শুর উপজেলার আলগী পাতাকাটা গ্রামের মনেচ সিকদার বাদী পশ্চিম সেনের টিকিকাটা গ্রামের মহারাজের পুত্র মুন্না (২০), ওই গ্রামের আবুল কালামের পুত্র রাব্বি (১৯) ও জরিপের চর গ্রামের ইউনুচের পুত্র মেহেদী হাসান (১৯) সহ আরও অজ্ঞাত ৪/৫জনকে আসামী করে মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করে।
স্থানীয় চৌকিদার আ: জলিল জানান, মুন্না এবং রাব্বি এরা এলাকার বখাটে। এদের বিরুদ্ধে এলাকায় একাধিক হাস, মুরগি, ছাগল চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঠবাড়িয়া থানার এস.আই হুমাউন কবীর জানান- মোবাল ট্রাঙ্কিয়ের মাধ্যমে রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়।
থানার অফিসার ইনচার্জ আ.জ.ম মাসুদ্দুজামান মিলু জানান- মামলা দায়েরের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত রবিউলকে লুট করা মাংশসহ গ্রেফতার করা হয়। এর আগে এ মামলার অপর আসামী মেহেদীকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানানÑ রবিউল এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
এদিকে পশুর ওপর নির্মমতার দুর্বৃত্ত রবিউল গ্রেফতার হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
Comments
আরও পড়ুন





